মিয়ানমারের চলমার জান্তা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা এবার বিরোধীতার কৌশল পাল্টে নীরব ধর্মঘট পালন করছে। বুধবার দেশটির সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানায় তারা। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বাবার কোলে সাত বছরের শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
এদিকে আবারো দেশটির গণতন্ত্রকামী নেতা অং সান সু চি’র শুনানি পিছিয়ে পয়লা এপ্রিল নির্ধারণ করেছে আদালত।
মিয়ানমারে সেনাবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৮৬ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। সবশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বাবার কোলে নিহত হয় খিন মিও নামের সাত বছরের শিশু। মিও’র পরিবারের দাবী, সেনারা বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছে।
তাই নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর প্রতিবাদ জানাতে ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে দেশটির গণতন্ত্রকামীরা। বুধবার ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি কাউকে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিক থেইন জো মুক্তি পেয়েছে। ছাড়া পেয়ে তিনি জানান, সেনা বিরোধী বিক্ষোভের খবর সংগ্রহের সময় আটক হন।
থেইন জো আরও বলেন, ‘যারা আমার মুক্তির জন্য চেষ্টা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে দুঃখজনক, এখনও অনেকেই আটক আছেন। আশা করছি, তাদেরও শিগগির ছেড়ে দেয়া হবে।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সেনাবিরোধী বিক্ষোভ শুরুর পর আটক হওয়া অন্তত ৬২৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে জান্তা সরকার।
সূত্র: রয়টার্স।