বিদ্রোহ ঘোষণা ও স্থগিত করার পর বেলারুশে নির্বাসিত করা হয় ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে। অবশ্য এতে বাহিনীটির ওপর তেমন প্রভাব পড়েছে কি না বুঝা যাচ্ছে না। কেন না রাশিয়া জুড়ে এখনো ভাগনার গ্রুপের সদস্য বাড়ানোর কার্যক্রম চলছেই।
বিবিসির একটি তদন্তে দেখা গেছে, ভ্লাদিমির পুতিনকে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াতে প্ররোচিত করা এই ভাগনার গোষ্ঠীর নিয়োগকারী অফিসগুলো এখনো যোদ্ধাদের নিয়োগ দিচ্ছে। তবে রিক্রুটিং অফিসগুলো যে নতুন সদস্য সংগ্রহ করার জন্য জোর দিচ্ছে তা রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য নয়।
এই ভাড়াটেদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হবে বলে ক্রেমলিন দাবি করলেও ভাগনার গ্রুপ তা মেনে নেয়নি। এতে জন্ম হয় সশস্ত্র বিদ্রোহের যা পুতিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। যদিও ক্রেমলিন ওয়াগনার গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমর্থ হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ভাগনারের বিষয়ে জানার যোগাযোগের পয়েন্টগুলি মার্শাল আর্ট স্কুল এবং বক্সিং ক্লাব ও ফাইট ক্লাব। নতুন সদস্যরা রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নয়, ভাড়াটে গোষ্ঠীর সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে বলে জানান আগ্রহী বেশ কয়েকজন।
রাশিয়ার ভলগোগ্রাদ অঞ্চলের স্পার্টা স্পোর্টস ক্লাবের একজন ব্যক্তি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সব কিছু চলছে, আমরা এখনো নিয়োগ করছি।’
শুক্রবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোজিন। রুশ সামরিক নেতৃত্ব উৎখাতের দাবিতে পরদিন শনিবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন ভাগনার যোদ্ধারা। পথে বেশ কয়েকটি শহর নিয়ন্ত্রণে নেন তারা। পরে সেদিন রাতে লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন প্রিগোজিন।
বিদ্রোহ থেকে সরে আসা নিয়ে প্রিগোজিনের সঙ্গে ক্রেমলিনের একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী, বিদ্রোহের জেরে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়া হবে। ভাগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আর প্রিগোজিনকে বেলারুশে ‘নির্বাসন’-এ যেতে হবে।