হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে খাবার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রবেশে অবরোধ দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
গাজার হাসপাতালগুলো মজুত করা জ্বালানি দিয়ে দুই সপ্তাহের মত চললেও ফুরিয়ে এসেছে জ্বালানি। আর তাই জ্বালানির অভাবে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো।
জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অন্তত ৬টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, গাজায় জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করা হলে, শিগগিরই হাজার হাজার রোগীর মৃত্যুর সাক্ষী হবে বিশ্ব। এরই মধ্যে জ্বালানির অভাবে গাজার ৪০টি চিকিৎসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
অবিলম্বে জ্বালানি না পেলে আজ বুধবার রাত থেকে গাজায় কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হবে জাতিসংঘ।
ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধের জেরে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকায় দু’সপ্তাহ কোনো ত্রাণ প্রবেশ করতে পারেনি গাজায়। ফলে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত সেই উপত্যকায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় শুরু হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতিতে শনিবার রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। গত কয়দিনে এই ক্রসিং দিয়ে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করলেও জ্বালানি তেলবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি গাজায়।