দামেস্কে কনস্যুলেটে হামলার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। যেকোনো সময় এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। অর্থাৎ যেকোনো সময় ইরানের পক্ষ থেকে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এই হামলার পর পরই কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে গুরুতর ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় ইরানের যেকোনো সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়া এড়ানো যেত, যদি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলের সেই হামলার নিন্দা করত।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে বিষয়টি উঠিয়ে আনে তেহরান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ইরানি মিশন বলেছে, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যদি দামেস্কে আমাদের কূটনৈতিক চত্বরে ইহুদিবাদী দেশটির নিন্দনীয় আগ্রাসনের নিন্দা করত এবং পরবর্তীকালে এর অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করত, তবে ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রহিত হয়ে যেত।’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় ইরানের সিনিয়র সামরিক নেতাসহ ১৩ জন নিহত হন। ইসরায়েল অবশ্য সেই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে তারাই এই হামলার পেছনে আছে বলে ব্যাপক আকারে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: আলজাজিরা