আগস্ট ২২, ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়নি বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বলেছে, ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ বাংলাদেশে বন্যার জন্য দায়ী নয়।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই দাবি করে তারা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচার করা হয়েছে যে ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত অর্থে এই খবর সঠিক নয়। আমরা বলতে চাই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণেই বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
আরও বলা হয়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে বেশ দূরে রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এটা ১২০ কিলোমিটার দূরে উজানে অবস্থিত। এটা অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার (৩০ মিটার) একটি বাঁধ যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। এখান থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশও পেয়ে থাকে। প্রায় ১২০ কিলোমিটার নদীপথে আমাদের অমরপুর, সোনাইমুড়া ও সোনাইমুড়া-২-এ তিনটি জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সমগ্র ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে গত ২১ আগস্ট থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের ক্ষেত্রে বাঁধগুলোতে স্বয়ংক্রিয় রিলিজ পরিলক্ষিত হয়েছে। অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপাক্ষিক প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বাস্তব সময়ের বন্যার তথ্য পাঠাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে অসংবেদনশীল সংবাদ প্রকাশ করায় জি-মিডিয়ার ওয়েবসাইট হ্যাক
তথ্য অনুযায়ী ২১ আগস্ট ভারতীয় সময় বিকেল তিনটা পর্যন্ত বাংলাদেশকে ক্রমবর্ধমান বন্যার প্রবণতার তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। এদিন ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে যার ফলে যোগাযোগের সমস্যা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবারই ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির খবর দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোমতি নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের জন্য। ভারী বৃষ্টির ফলে ডুম্বর জলাশয়ের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁধের গেট। সংবাদমাধ্যম জি-নিউজ জানায়, বন্যার কারণে ডুম্বুর জলবিদ্যৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই বাংলাদেশে পানি ঢুকছে এবং বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।