কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, সতর্কতা জারি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত, সতর্কতা জারি

ভারতের কেরালার কোঝিকোড়ে নিপাহ ভাইরাসের সতর্কতা জারি করেছে সরকার। ওই জেলায় পর পর দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জ্বর। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কেরালায় সংক্রমণ বাড়ার পেছনে নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট দায়ী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া বলেছেন, কেরালার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং রাজ্য সরকারকে নিপাহ ভাইরাস ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে কেন্দ্রীয় একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআই বলছে, কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে গত ৩০ আগস্ট। আর দ্বিতীয় রোগী মারা গেছেন সোমবার।

প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় কেরালা সরকার কোঝিকোডে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জেলার বাসিন্দাদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফল খাওয়া বাদুড় থেকেই সাধারণত নিপাহ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। খেজুরের কাঁচা রস থেকেই বেশির ভাগ সময় এটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এই রসে অনেক সময় আক্রান্ত বাঁদুরের মূত্র কিংবা মুখের লালা মিশ্রিত থাকে। আক্রান্ত হলে এই ভাইরাস মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। সাধারণত আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে গেলে এটি অন্য মানুষের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটায়।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ দেখা যায়। এসব উপসর্গের মধ্যে শ্বাসনালির সংক্রমণ, জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, পেশিতে ব্যথা, মাথা ঘোরা সহ অনেকের ক্ষেত্রে বমিভাবও হয়। এসব উপসর্গ দেখা গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এই ভাইরাসের জন্য এখন পর্যন্ত বিশেষায়িত কোনো ওষুধ, চিকিৎসা কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

Link copied!