সামরিক সহায়তা পাঠাতে দেরি হওয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় মার্কিন কংগ্রেসে কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্যদের দোষারোপ করেন তিনি।
এছাড়া নতুন করে সাড়ে ২২ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনকে নতুন এই সহায়তা প্যাকেজে গোলাবারুদ ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জুন) ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলেনস্কিকে নতুন করে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন। বৈঠকে জেলেনস্কিকে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আপনার পাশে থাকবে। আপনি মাথা নত করেননি, কোনোভাবে পিছু হটেননি। আপনি লড়ে যাচ্ছেন, এটা অসাধারণ, একেবারেই অসাধারণ।”
জবাবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনারা যে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন, তার ওপর আমরা নির্ভর করতে পারি।”
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত সময়ে নরম্যান্ডি উপকূলে অবতরণ দিবসের ৮০তম বার্ষিকী (ডি-ডে) উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা ফ্রান্সে জড়ো হন।
১৯৪৪ সালের ৬ জুন জার্মানির নাৎসি বাহিনীকে তাড়ানোর অভিপ্রায়ে সমুদ্র ও আকাশ পথে আক্রমণ করেছিলেন মিত্র বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সেনা। তাদের মধ্যে অনেকেই এর মধ্যেই মারা গেছেন। যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের বেশির ভাগই এখন শতবর্ষী। তাদের সম্মান জানাতেই বিশ্ব নেতারা নরম্যান্ডিতে জড়ো হন।
নরম্যান্ডিতে বাইডেনের আবেগমথিত ভাষণ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষে নরম্যান্ডিতে মার্কিন সেনাদের যুদ্ধস্মৃতিবিজড়িত পয়েন্ট ডি-হকে আবেগমথিত ভাষণ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে বাইডেন বলেন, “ইউরোপে পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র রুখে দাঁড়াক, এটা যে তারাও চাইতেন, সে ব্যাপারে কি কোনো সন্দেহ আছে? তারা আমাদের কর্তব্য পালন করতে বলেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “সেই কর্তব্য হচ্ছে, আজকের দিনে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এবং দেশে-বিদেশে যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।”