ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সংকট সমাধানে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঠেকাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আহ্বান জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
বেইজিংয়ে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে এই আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সময় সম্পর্কের অগ্রগতির আশা প্রকাশ করে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে মতভেদের বিষয়গুলো সরাসরি উত্থাপন করবো।’
আশা করা হচ্ছে, ব্লিঙ্কেনের উত্থাপিত বিষয়গুলোর মধ্যে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশে তার দ্বিতীয় সফর এটি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, ‘(গত বছরের) নভেম্বরে শীর্ষ সম্মেলনে জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের পর বিশ্বের বড় অর্থনীতির এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল হতে শুরু করে’। চীনের রাজধানীর প্রাচীন উদ্যানের দিয়াওইউতাইয়ে রাষ্ট্রীয় গেস্ট হাউসে ব্লিঙ্কেনকে অভ্যর্থনা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পর্কের নেতিবাচক বিভিন্ন বিষয় এখনও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।’
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিভিন্নভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চীনের বৈধ উন্নয়ন অধিকার অযৌক্তিকভাবে দমন করা হচ্ছে। আমাদের মূল স্বার্থ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কী স্থিতিশীলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক পথে থাকা উচিত, নাকি নিম্নগামী সম্পর্কের দিকে ফিরে যাওয়া উচিত?’
ওয়াং ই বলেন, ‘এটি আমাদের দুই দেশের সামনে একটি প্রধান প্রশ্ন এবং আমাদের আন্তরিকতা ও সক্ষমতার পরীক্ষা।’
এদিকে ওয়াংয়েরর সঙ্গে বৈঠক শুরু করার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, এসব ক্ষেত্রে তিনি ‘খুব স্পষ্ট’ ও ‘খুব সরাসরি’ কথা বলবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টরা যে সব বিষয়ে সম্মত হয়েছেন সে সব বিষয় আমরা কিছুটা এগিয়ে নেব বলে আমরা আশা করছি।’
ব্লিঙ্কেন বলেন, দুই দেশের ‘যে ক্ষেত্রগুলোতে আমাদের মতভেদ আছে সে গুলো ব্যাপারে যথাসম্ভব স্পষ্ট হওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আমাদের এমনটা করা উচিত।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এমনটা করা দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’