মে ১৭, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
পিরামিড কীভাবে নির্মাণ হয়েছে- এটা নিয়ে গল্পের শেষ নেই। আছে বিতর্কও। সব গল্প আর বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এবার গবেষকরা দিয়েছেন সুখবর। নীল নদের ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রাচীন শাখার সন্ধান মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার হয়তো জানা যাবে পিরামিডের নির্মাণ রহস্য।
“রাডারের মাধ্যমে আমরা বালুর পৃষ্ঠে প্রবেশের এবং মৃত নদী ও প্রাচীন কাঠামোসহ এর গোপন বৈশিষ্ট্যগুলোর ছবি তৈরির অনন্য সক্ষমতা পেয়েছি”
- ইমান ঘোনিম
অধ্যাপক, আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেস
নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সম্প্রতি আবিষ্কার করা নীল নদের মৃত শাখাটি হাজার বছর ধরে মিশরের মরুভূমি ও কৃষিজমির নিচে লুকিয়ে ছিল।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মিশরের ৩১টি পিরামিডের পাশাপাশি নদীর শাখা প্রবহমান ছিল। এই নদীর মাধ্যমেই বড় বড় পাথরের ব্লকগুলো পরিবহন করা হতো। সাম্প্রতিক এই আবিষ্কারে মাধ্যমে ৩৭০০-৪৭০০ বছর আগে বানানো পিরামিডের নির্মাণ রহস্য উদ্ঘাটন করা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নীল নদের মৃত শাখা খুঁজে পেতে গবেষকরা রাডার স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা উইলমিংটনের আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্সেসের অধ্যাপক ইমান ঘোনিম এএফপিকে বলেন, “রাডারের মাধ্যমে আমরা বালুর পৃষ্ঠে প্রবেশের এবং মৃত নদী ও প্রাচীন কাঠামোসহ এর গোপন বৈশিষ্ট্যগুলোর ছবি তৈরির অনন্য সক্ষমতা পেয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী গবেষক দলটি এমন অনেক পিরামিডের বাঁধ দেখতে পেয়েছে যা নদীটির সম্প্রতি আবিষ্কৃত আহরামত শাখার তীরে এসে শেষ হয়েছে। এর থেকে ধারণা করা যায় নদীর এই শাখা দিয়েই পিরামিডের নির্মাণসামগ্রী পরিবহন করা হতো।
ইমান ঘোনিম গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, “আমাদের মধ্যে যারা প্রাচীন মিশর নিয়ে আগ্রহী তারা অনেকেই জানেন যে মিশরীয়রা নিশ্চয়ই পিরামিড এবং উপত্যকার মন্দিরের মতো বিশাল স্থাপনা নির্মাণের জন্য একটি নৌ-পথ ব্যবহার করেছিল। কিন্তু কেউই সেই নৌ-পথের অবস্থান, আকার কিংবা দূরত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত নয়। গবেষণায় আমরা নীল নদের দীর্ঘ একটি মৃত শাখার মানচিত্র পেয়েছি। এর মাধ্যমেই দৈত্যাকার পিরামিডের সঙ্গে এর সংযোগ জানা সম্ভব।”
গবেষণার ফল গবেষণা জার্নালে কমিউনিকেশন্স আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি