গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের মুখে সুপেয় পানির অভাব চরম আকার নিয়েছে। এতে ভয়াবহভাবে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি।
রোববার (৯ জুন) এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে জার্মানির বার্লিনে তিনি বলেন, “গাজার বেসামরিক লোকজন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। এর মধ্যে সেখানে পানির পাইপলাইন সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ক্রমবর্ধমান সেনা অভিযানের কারণে গাড়িতে করে বাড়ি বাড়ি পানি পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে গাজাবাসী।”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ চলছে। ফিলিস্তিনিরা এখানে বড়ই অসহায়। দক্ষিণ গাজার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ।”
ফিলিস্তিনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছর জানুয়ারিতে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলায় গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ফলে গাজার পরিবেশ ভয়াবহ আকারে দূষিত হচ্ছে।
বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে গাজা সিটির সবচেয়ে বড় শেখ রেদোয়ান পুকুরটিও এখন পয়ঃবর্জ্যে দূষিত হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় এখন সুপেয় পানির অভাব প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা দূষিত পানি পানে বাধ্য হচ্ছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এক বিবৃতিতে একই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিল।
সূত্র: আরব নিউজ, জর্ডান নিউজ