ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমে আকস্মিক বন্যা ও আগ্নেয়গিরির ঠাণ্ডা লাভার প্রবাহে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ জনে উপনীত হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
শতাধিক বাড়িঘর, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা আছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, শনিবার রাত থেকে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের আগাম ও তানাহ দাতার অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চল লাভার স্রোতে প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে এই দুই অঞ্চলে লাভার কাদায় প্রায় ডুবে গেছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, ঠাণ্ডা লাভায় প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৫ উপজেলা। বাড়িঘর, মসজিদসহ শতাধিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পশ্চিম সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, “অনুসন্ধান অভিযানে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধান ও আশ্রয়কেন্দ্রে লোকদের নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদের একটি দল এবং রাবার বোট পাঠিয়েছে। স্থানীয় সরকার দুটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় উচ্ছেদ কেন্দ্র ও জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।”
আগাম জেলার ৪৩ বছর বয়সের গৃহবধূ রিনা দেবিনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমি বজ্রপাত এবং ফুটন্ত পানির মতো শব্দ শুনেছি। এটি মারাপি পর্বত থেকে বড় বড় পাথর পড়ার শব্দ ছিল। পিচ কালো থাকায় আমি আমার মোবাইল টর্চ হিসেবে ব্যবহার করেছি। রাস্তা কাদায় ডুবে যাওয়ায় আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।”
উল্লেখ্য, ঠাণ্ডা লাভাকে লাহার বলা হয়। আগ্নেয়গিরির লাভায় যেসব ছাই, বালি ও নুড়ি মিশ্রিত থাকে, সেটাই বৃষ্টিতে গলে লাহারে পরিণত হয়।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স