জুন ১৩, ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
জি-৭ সম্মেলনে ইউক্রেন নিয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ আসতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) এক টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে জি-৭ সম্মেলনে।”
হোয়াইট হাউজ বলছে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে প্রতি বছর ইউক্রেনের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে মার্কিন পরিকল্পনায় ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে জি-৭।
এরই মধ্যে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পুগলিয়ায় জি-৭ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার তিনি জাপানের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। একই ধরনের চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও স্বাক্ষরের কথা আছে।
জি-৭ভুক্ত দেশগুলো হলো- কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এসব দেশ ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা করে আসছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রায় ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করেছে জি-৭ভুক্ত দেশ ও ইইউ। এছাড়া রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশির ভাগ সম্পদ বেলজিয়ামে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব দেশ রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ইউক্রেনকে দিতে পারে না। কিন্তু রুশ সম্পদ থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সুদ আসছে। প্রতি বছর আসা সুদের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। ফলশ্রুতিস্বরূপ এই সুদকে সৃজনশীল উপায়ে কাজে লাগানোর পক্ষপাত জি-৭-ভুক্ত এসব দেশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশ্ব বাজার থেকে একটি ঋণ নিয়ে প্রতি বছর ৫০ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে দেওয়া হবে। ঋণের কিস্তি হিসেবে রুশ সম্পদের সুদ থেকে ৩ বিলিয়ন প্রতি বছর পরিশোধ করা। তবে এমন কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু জটিলতা রয়েই গেছে। যেগুলোর এখনও সমাধান হয়নি।
সূত্র: বিবিসি