ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিল আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৩:৫০ এএম

ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিল আন্তর্জাতিক বিচার আদালত

ইসরায়েলের হামাস নির্মূল অভিযানের কড়া মাশুল নিরীহ বেসামরিকদের দিতে হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আন্তর্জাতিক সমালোচনা উপেক্ষা করেই গাজার খান ইউনিসের হাসপাতাল ও রাফায় অভিযান জোরদার করেছে ইসরায়েল।

এই পরিস্থিতিতে গাজার রাফায় ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়ে বেসামরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে দেওয়া আদালতের রায় মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে আদালতটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, রাফায় ইসরায়েলি বাহিনী বৃহৎ পরিসরে অভিযান চালাবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

প্রসঙ্গত, মিশরের সিনাই মরুভূমি থেকে গাজা উপত্যকাকে পৃথক করা সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং উপত্যকার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। গাজা থেকে বের হওয়ার আরও দুটি সীমান্তপথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে এবং ইসরায়েলের ইচ্ছা অনুযায়ী সেগুলো খোলা বা বন্ধ থাকে।

৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। যাদের এক তৃীতিয়াংশেরও বেশি সরাসরি জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণ এবং আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। অপর দুই সীমান্ত প্রায় সময়েই বন্ধ থাকায় এই রাফাহ ক্রসিং দিয়েই গাজা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ত্রাণ। এ কারণে এই ক্রসিংটি গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘লাইফ লাইন’ নামেও পরিচিত।

গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে ইসরায়েল ও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সীমান্তের  বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন শত শত প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা।

ইসরায়েলে ঢুকে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করেন তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে ধরে যায় হামাস যোদ্ধারা।

Link copied!