সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে রাস্তায় নেমে পড়েছে নেপালিরা।
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে এই বিক্ষোভ রুখতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এমনকি বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে গেলে সেখানে ব্যারিকেড দেয় তারা। সেই ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে আন্দোলনকারীরা। নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই জেন-জি।
এদিকে, পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুর নয়া বাণেশ্বরে জেন-জি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তারা নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবার পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে এসব মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে নেপালের সরকার। দেশটির সরকার বলছে, এসব আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর পাশাপাশি হিংসাত্মক মন্তব্য প্রচার করা হয়। এতে বেড়ে যাচ্ছে অপরাধ। এ কারণে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এরপর বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে পড়ে জনতা। তারা সবাই পার্লামেন্টের আশপাশে জড়ো হতে থাকে। তারা যাতে পার্লামেন্টের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তরুণ বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু তাদের পার্লামেন্টে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরই মধ্যে হাজারো জনতাকে রুখতে পার্লামেন্ট এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কাঠমান্ডু ডিস্ট্রিক্ট অফিসের মুখপাত্র মুক্তিরাম রিজাল রয়টার্সকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা কারফিউ জারি করেছি। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে। বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে যাওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা। ওয়াটার ক্যানন, ব্যাটন ও রাবার বুলেট ব্যবহার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে আজ সোমবার সকালে হাজারো জনতা রাস্তায় নেমে পড়ে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তরুণ, কারও গায়ে তখনো ছিল স্কুল কিংবা কলেজের ইউনিফর্ম। আর হাতে ছিল নেপালের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক প্ল্যাকার্ড। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘দুর্নীতি বন্ধ করো, সোশ্যাল মিডিয়া নয়’ ও ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণেরা’।