বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি হাজার হাজার গ্রেনেড ও লাখ লাখ বুলেট হারিয়ে ফেলেছে কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনী। দেশটির সামরিক ঘাঁটিগুলো পরিদর্শনের পর সামনে এসেছে এই তথ্য।
দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা চুরি করে এসব অস্ত্রশস্ত্র বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো জানান, কলম্বিয়ার সেনাবাহিনী লাখ লাখ বুলেট, হাজার হাজার গ্রেনেড এবং বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়ে ফেলেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে সামরিক ঘাঁটিগুলোতে পরিদর্শনের সময় এসব অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।”
অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, “সামরিক বাহিনীর কর্মীরা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের কাছে এসব অস্ত্র বিক্রি করেছে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অস্ত্রশস্ত্র নিখোঁজের বিষয়ে তদন্ত চলছে।”
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “এই ধরনের ঘাটতি ব্যাখ্যার একমাত্র উপায় হলো- সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরের বিভিন্ন লোক ও বেসামরিক লোকদের নেটওয়ার্ক দীর্ঘদিন কলম্বীয় রাষ্ট্রের বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অস্ত্রের ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণের জন্য নিবেদিত রয়েছে।”
পেট্রো বলেন, “চলতি বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ও ১ এপ্রিল যথাক্রমে টোলেমাইদা ও লা গুয়াজিরা নামে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে আকস্মিক পরিদর্শনকালীন এসব অস্ত্র নিখোঁজের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে টোলেমাইদা সামরিক ঘাঁটিতে অফিশিয়াল রেকর্ডের তুলনায় ৮ লাখ ৮ হাজারেরও বেশি বুলেট ও প্রায় ১০ হাজার গ্রেনেডের ঘাটতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে লা গুয়াজিরা ঘাঁটিতে প্রায় ৪২ লাখ বুলেট ও ৯ হাজার তিন শতাধিক গ্রেনেডের বিষয়ে অসঙ্গতিও পাওয়া গেছে।”
সামরিক বাহিনীর এসব অস্ত্রশস্ত্র কলম্বিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দেওয়া হতে পারে, আবার এটি হাইতি বা আন্তর্জাতিক কালো বাজারে পাচার করাও হয়ে থাকতে পারে- এমন আশঙ্কা জানিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “এই সামরিক ঘাঁটি থেকে দুটি স্পাইক ক্ষেপণাস্ত্র, ৩৭টি নিমরোড ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৫০টি রকেট চালিত গ্রেনেডও হারিয়ে গেছে।”
সূত্র: এপি, বিবিসি