ভারতের লোকসভা নির্বাচন-২০২৪

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মোদি-মমতা পাল্টাপাল্টি

হাসনাত আসিফ কুশল

এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মোদি-মমতা পাল্টাপাল্টি

গত ২৬ এপ্রিল শেষ হয় ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।

৮৯ আসনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৮৮টিতে।

মধ্যপ্রদেশের বেতুল কেন্দ্রের বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। তৃতীয় দফায় সেখানে ভোট নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।

প্রথম দফায় ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৩ শতাংশ।

ভোটের হার বাড়াতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত মরিয়া হয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ভারতের ৮৯ আসনে ভোট রয়েছে ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের লোকসভা নির্বাচনে ১ হাজার ২ শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ২৬ এপ্রিল বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে মণিপুর, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরায় ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হলেও উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৫২ দশমিক ৬, ৫৩ ও ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে লড়াই করেছেন ভারতের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা তেজস্বী সূর্য, হেমা মালিনী ও অরুণ গোভিল, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও শশী থারুর এবং কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই ডি কে সুরেশ ও একই রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী অন্যতম।

প্রসঙ্গত, সাতটি ধাপের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন। শেষ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

মোদি-মমতা পাল্টাপাল্টি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে পুরনো মালদায় এক জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘বাংলার কোনো কাজ কাটমানি ছাড়া হয় না। এই বাংলায় দুর্নীতি করছে তৃণমূল, আর ভুগছে বাংলার মানুষ।’

একই দিন ঘাটালের পিংলায় তৃণমূলের প্রার্থী ও টালিউড নায়ক দেবের নির্বাচনী প্রচারে কারও নাম উল্লেখ না করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে মেদিনীপুর দেখেছেন, শুধুই কঙ্কাল কাণ্ড। ডেডবডির পর ডেডবডি। বিচার পায়নি মানুষ। সবচেয়ে বড় ডাকাতি করে গেছে সিপিএম। আর সবচেয়ে বড় ভুলটা আমি করেছিলাম। কারণ আমি বলেছিলাম, বদলা নয়, বদল চাই। পালাবদলের পর বাংলার দিকে দিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত বেজেছিল।’‌

মমতার এই মন্তব্যের পর শিউরে উঠেছেন অনেকে। বিরোধী শিবিরের অনেকেই ভাবছেন, এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই বদলা নিতে শুরু করেন, তবে তাদের ওপর চাপ বাড়বে।

Link copied!