সমালোচনা ও বৈশ্বিক চাপের জেরে গাজায় যুদ্ধ পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি বিশেষ মন্ত্রিসভা বাতিল করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (১৭ জুন) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার দুই সদস্য বেনি গান্টজ ও গ্যাডি এইসেনকোট পদত্যাগের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রতিক্রিয়াস্বরূপ সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযান পরিচালনা ও নির্দেশনা দিতে অক্টোবরেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু ছাড়া অন্য যে ৫ সদস্য এই মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তারা হলেন- প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত, স্ট্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডেরমার, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং দপ্তরবিহীন দুই মন্ত্রী বেনি গান্টজ ও গ্যাডি এইসেনকোট।
তবে এই মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ও জনসাধারণের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে, হামাসের দখলে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে উদাসীনতা দেখাচ্ছে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এছাড়া সেনাবাহিনীতে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক যোগদান সংক্রান্ত একটি বিলও পার্লামেন্টে উত্থাপন করেছে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। যেটা নিয়েও বেশ কিছুদিন ধরে চলছে সমালোচনা। এছাড়া এই মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রেরও আপত্তি ছিল।
এসব সমালোচনা ও টানাপোড়েনের জেরেই সম্প্রতি পদত্যাগ করেন মন্ত্রিসভার দুই সদস্য বেনি গান্টজ ও গ্যাডি এইসেনকোট।
নেতানিয়াহুর অন্য একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বাতিলের পর বিশেষ একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর সদস্যরা শুধু তার কাছেই জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকবেন।
সূত্র: এপি