অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজার হাসপাতালের জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার(২৪অক্টোবর)হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে হাজার হাজার রোগীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। টেলিগ্রামে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আমাদের হাসপাতালগুলোর বৈদ্যুতিক জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য যে পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে তা অত্যন্ত ধীর গতির এবং তা বাস্তবতা বদলাতে পারবে না। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতিহাসের সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার(২৩অক্টোবর) মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানের হামলায় ও জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন অচল হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবিক সহায়তা বণ্টনের ক্ষেত্রে হাসপাতালের জরুরি প্রয়োজনগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্য খাতকে সহায়তা করার জন্য জ্বালানি ও রক্ত ইউনিট সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হাসপাতালের মেডিকেল টিমগুলো পোর্টেবল ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের বহন করা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গতকাল সোমবার(২৩অক্টোবর) গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাগুলো বিঘ্নিত হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজার ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালটি।
গতকাল সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮২টিই শিশু। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৮৭ জন হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫টিই শিশু। নারী ১ হাজার ১১৯ জন, প্রবীণ ২১৭ জন। আহত হয়েছে ১৫ হাজার ২৭৩ জন।