পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলে যোসেফ স্তালিনের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড করবেন তিনি। এরপর ষষ্ঠ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারলে পুতিন হবেন রাশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুসারে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও এই নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে কোনো জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন না।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ নাগরিকরা পুতিনকে সমর্থন করার প্রমানস্বরূপ এবারের প্রেসিডেন্ট নিবাচনকে উপস্থাপন করে আসছে ক্রেমলিন। নির্বাচন নিয়ে নানা মতপার্থক্য থাকলেও এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গত দুই শতাব্দীর মধ্যে রাশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে গেছে পুতিন।
রাশিয়ায় গত ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক জোসেফ স্তালিন। ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। কওন্তু এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে পঞ্চম মেয়াদ পূর্ণ করলে স্তালিনের চেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা রুশ শাসক হবেন পুতিন। তার ক্ষমতাকল হবে ৩১ বছর। এই নির্বাচনের মাধ্যমে অর্জিত ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হবে ২০৩০ সালে।
কিন্তু এই রুশ প্রেসিডেন্ট শুধু স্তালিনের রেকর্ডই ভাঙবেন না। তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা ও দূরদর্শিতা ক্যাথরিন দ্য গ্রেটের রেকর্ড ভাঙারও ইঙ্গিত দেয়।
কারণ তিনি এরই মধ্যে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত যেন ক্ষমতায় থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছেন। তার এই উদ্দেশ্য পূর্ণ হলে নিমিষেই ভেঙে যাবে ক্যাথরিন দ্য গ্রেটের রেকর্ড। পুতিন হবেন রাশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি।
১৭৬২-১৭৯৬ সাল পর্যন্ত ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন ক্যাথরিন দ্য গ্রেট। ২০৩৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকলে পুতিনের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ হয়ে যাবে ৩৭ বছর।
১৯৯৯ সালের শেষ দিন থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় পুতিন। দীর্ঘ এই সময়ে পুতিন নিজের এমন একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি কবার চেষ্টা করেছেন যে তিনি হলেন সেই নেতা, যিনি রাশিয়ার জাতীয় পরিচয় রক্ষায় লড়ছেন। পুতিনের দাবি, রাশিয়ার জাতীয় পরিচয় হুমকির মুখে। একে রক্ষা করতে হবে।