জুন ৩০, ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বহু নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। সেখানে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার দিল্লিতে ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুনের একদিনে হওয়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত এটি।
বৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই নয়াদিল্লিবাসীকে আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। আইএমডির আবহাওয়াবিদ সোমা সেন দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অংশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই ভারতের টেলিভিশনে জলমগ্ন আন্ডারপাসগুলোতে গাড়ি আটকে থাকা ও ডুবে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে স্থানীয়দের জলাবদ্ধতার মধ্যেই যাতায়াত করতে দেখা যায়। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টিজনিত কারণে প্রাণহানির খবর আসতে থাকে। মৃতদের মধ্যে বেশি কিছু শিশুও রয়েছে, তারা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন গর্তে পড়ে ডুবে প্রাণ হারায়। দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকায় একটি দেয়াল ধসে তিনজন এবং নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের এক ছাউনির একটি অংশ ধসে যাত্রীর জন্য অপেক্ষারত একজন ক্যাব চালক প্রাণ হারান।
এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজট ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ আন্ডারপাস প্রগতি ময়দান টানেল প্লাবিত হওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল শনিবারও আন্ডারপাসটি বন্ধ ছিল। এ-অবস্থায় আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আসায় দিল্লিবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে নগর কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, আসন্ন ভারী বৃষ্টির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে তীব্র তাপপ্রবাহে দগ্ধ হচ্ছিল দিল্লিবাসী। একপর্যায়ে সেখানকার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়ায়। এ-অবস্থায় বহু লোকের প্রাণহানি হয়। শুক্রবার থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। এতে তাপমাত্রা কমে নাগরিক জীবনে স্বস্তি মিললেও অতিবৃষ্টিতে প্রাণহানি ও জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি