ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, নিহত ১৬

বিবিসি

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ০২:০১ পিএম

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, নিহত ১৬

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।  শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে চালানো এসব হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। 

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, এর আগে ইউক্রেনের এত বেশি সংখ্যক শহরে একযোগে হামলা চালায়নি রুশ বাহিনী।

লম্বা সময় প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে থাকার পর সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে আজ এ হামলা চালানো হলো। ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, এদিন দেশটির রাজধানী কিয়েভ, পশ্চিমাঞ্চলের লিভ শহর, দক্ষিণাঞ্চলের ওদেসা ও জাপোরিঝঝিয়া এবং পূর্বাঞ্চলের নিপ্রো, খারকিভসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে।

রাশিয়ার হামলায় হতাহতের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলি আদ্রি কোস্তিন। আর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আকাশপথে ১৫৮টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ১১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

এ দিন প্রথমে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে রাশিয়া হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। তিনি বলেন, এরপর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ৫৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বেশ কয়েকটি রাডারবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়া।

আজ ‘রাশিয়া নিজেদের ভান্ডারে থাকা প্রায় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে’ বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

হামলার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা, একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ ও বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার সর্বশেষ হামলার পর ওদেসা, খারকিভ, নিপ্রোপেত্রোভস্ক ও কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চল বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করছে বলে কয়েক সপ্তাহ ধরেই আশঙ্কা করছিল কিয়েভ সরকার। গত বছর শীতকালেও ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বড় ধরনের হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী। এতে বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন দেশটির লাখ লাখ মানুষ।

এর আগে স্থানীয় সময় গত সোমবার ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ফিওদোসিয়া বন্দরে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজে হামলা চালায় ইউক্রেন। ওই সময় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছিল, তাদের ধারণা, ওই জাহাজে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ড্রোন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

Link copied!