দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন ঘোষণার তদন্তের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে। এদিকে কারাগারে বন্দি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও জানা গেছে।
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ইউন দেশটিতে মার্শাল ল’ জারি করেছিলেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।
কোরিয়া কারাগার পরিষেবার কমিশনার জেনারেল শিন ইয়ং-হায় সংসদে জানান, কিম আত্মহত্যার চেষ্টা করলে কারা কর্মকর্তারা তা প্রতিহত করেন এবং বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। বিচারমন্ত্রী পার্ক সুং জায়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট কিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আদালত জানায়, অভিযোগের ভিত্তি, অপরাধের গুরুতরতা এবং প্রমাণ নষ্টের শঙ্কা বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
জাতীয় পুলিশ কমিশনার চো জি-হো এবং সিউল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান কিম বং-সিককেও বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার না করা হলে মুক্তি দেয়া হবে।
প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রথম প্রচেষ্টা ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির সদস্যদের ভোট বয়কটের কারণে ব্যর্থ হয়।
অভিশংসন সফল হলে, প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। পরে সাংবিধানিক আদালত ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করার বা ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেবে।
ডিসেম্বরের ৩ তারিখে জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন কোরিয়ার স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সামরিক আইন ঘোষণা করেন। তবে, এই সিদ্ধান্ত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংসদীয় ভোটে বাতিল করা হয়। ইউন পরে তার এই সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চেয়ে আইনি ও রাজনৈতিক দায় স্বীকার করেন।