ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৬:১০ এএম
রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকার জোর করে রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ঢোকাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে থাকতেন, তাঁদেরই সেনাবাহিনীতে নেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া রোহিঙ্গা পুরুষদেরকে নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র, জনপ্রতি এক বস্তা চাল এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানায়, অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা পুরুষকে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবির থেকে জোর করে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার পর অধিকারকর্মীরা এসব তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের কথা, এসব রোহিঙ্গাকে সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে দুই সপ্তাহের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োগের আইন প্রয়োগ করা হয়। তারপরই রোহিঙ্গাদের জোর করে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার ঘটনা ঘটল। নতুন আইন বলবৎ করার পর থেকেই সামরিক বাহিনী বুথিডং, মংডু ও সিতওয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নেতা, স্থানীয় প্রতিনিধি এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবিরে গিয়ে সেনাবাহিনীতে সদস্য নিয়োগের জন্য চাপ দিতে থাকে। সেনাবাহিনীতে নেওয়া যাবে—এমন ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষের তালিকা চাওয়া হয়।
প্রতিটি ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবির ও বড় গ্রাম থেকে ১০০ জনের তালিকা দিতে স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা ও প্রতিনিধিদের ওপর চাপ দেয় সামরিক বাহিনী।