ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবিলম্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন।
পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দীর্ঘস্থায়ী ও ভরসাযোগ্য শান্তি নিয়ে কথা হয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার মিউনিখে ইউক্রেন নিয়ে প্রতিরক্ষা শীর্ষবৈঠক হবে। সেখানে তিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিজেন্ট জে ডি ভান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারকো রুবিও-র সঙ্গে দেখা করবেন।
ট্রাম্প যা বলেছেন
ট্রুথ সোস্যালের পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এখন এই যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার। এই যুদ্ধের ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রচুর মানুষ মারা গেছেন। ঈশ্বর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানুষকে আশীর্বাদ করুন।’
পুতিনের সঙ্গে কবে তিনি মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন, ট্রাম্প সে ব্যাপারে পোস্টে কিছু লেখেননি। কিন্তু পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৌদি আরবে এই বৈঠক হবে।’
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইউক্রেন ২০১৪ সালের আগের সীমান্ত ফিরে পাবে তা মনে হয় না। পরে তিনি বলেন, কিছু জমি তাদের কাছে আসবে।’
ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়া নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, এরকম কোনো সম্ভাবনা নেই। ট্রাম্পের জবাব, ‘আমার মনে হয়, এটা সম্ভবত সত্যি।’
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, এখন একসঙ্গে কাজ করা দরকার।
তিনি জানিয়েছেন, দেড় ঘণ্টা ধরে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। পুতিন ট্রাম্পকে রাশিয়ার আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের বক্তব্য
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার ফোনে খুবই ভালো ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অনেকগুলি বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
জেলেনস্কির দাবি, ‘ইউক্রেন শান্তি চায়। অন্যদের থেকে বেশি করেই চায়। আমেরিকার সঙ্গে মিলে রাশিয়ার আগ্রাসন বন্ধ করাই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। আমরা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চাই।’
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে ও যোগাযোগ বজায় রাখতে একমত হয়েছি।’ জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে একঘণ্টা ধরে কথা বলেছেন।
দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন কুরস্কে অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেবে, যদি রাশিয়া ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকা ফেরত দেয়।’
পেসকভ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘এটা সম্ভব নয়।’
সূত্র: ডিডাব্লিউ বাংলা।