আগামী ১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্য আলোচনা অচলাবস্থায় পৌঁছেছে এবং এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার মিশিগানের এক জনসভায় বক্তৃতাকালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইউরোপের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছি। তারা সময় নষ্ট করছে। তারা আমাদের সঙ্গে সুবিচার করছে না। এবার সময় এসেছে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার।”
তিনি আরও বলেন, এই শুল্ক এড়াতে হলে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে তাদের উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করতে হবে। শুধু তাই নয়, অ্যাপল, স্যামসাং-এর মতো কোম্পানিগুলোকেও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করে, তবে আইফোনসহ অন্যান্য স্মার্টফোনের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এই ঘোষণার পরপরই বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোর পতন ঘটে এবং অ্যাপলসহ প্রযুক্তি খাতে ধস নামে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি নতুন বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যা বৈশ্বিক বাজারকে আরও অস্থির করে তুলবে।
ইউরোপীয় নেতারা এই হুমকিকে গুরুতরভাবে নিয়েছেন। জার্মান অর্থমন্ত্রী ক্যাথরিনা রাইখ একটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন, আর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট সাঁ-মারতাঁ বলেছেন, “আমরা উত্তেজনা চাই না, তবে প্রয়োজনে জবাব দিতেও প্রস্তুত।”
ইইউ ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য পাল্টা শুল্ক আরোপের জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করছে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে কৃষি ও শিল্পখাতের পণ্য অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্প এই শুল্ককে কৌশলগত চাপ হিসেবে ব্যবহার করছেন, তবে এর প্রভাব গুরুতর হতে পারে—বিশেষত যদি ইইউ প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বিশ্ব বাণিজ্য আরও বিঘ্নিত হয়।