মে ২৪, ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জাতি বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে। এই সংকটপূর্ণ সময় সতর্কভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা দেশ-বিদেশে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখছে।
শনিবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার ষান্মাসিক অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
অধিবেশনে জামায়াতের নায়েবে আমির, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং পুরুষ-মহিলা শুরা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতোমধ্যে দলীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সংঘাত-সংঘর্ষ বা কাদা ছোড়াছুড়ি করে জাতিকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় সংলাপ আহ্বানের আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, আলোচনার মাধ্যমে জাতির উদ্বেগ ও সংশয় দূর হবে এবং সংকটের সমাধান সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, “আমরা সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। সেটি না থাকায় জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ দরকার।”
একই সঙ্গে তিনি ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের সুবিচারেরও দাবি জানান। বলেন, “এই বিচার দীর্ঘমেয়াদি হলেও জনগণের সামনে একটি বিশ্বাসযোগ্য শুরু অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে।”
সম্প্রতি আলোচিত দুটি বিষয়—মানবিক করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত অথবা এটি নির্বাচিত সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।”
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক এবং ইতিহাসে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাদের বিতর্কিত করা উচিত নয়। দেশের রাজনৈতিক দল এবং সেনাবাহিনী যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচরণ করবে—এটাই জাতির প্রত্যাশা।”