যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপের তিন দেশ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি এই ঘোষণা দিয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ। কিন্তু রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটি আক্রমণের পর থেকে দেশটির শস্য রফতানি কমে গেছে। আরও একটি কারণ হলো—রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর ইউক্রেনে শস্যবাহী জাহাজের জন্য করিডর বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটি খুব বেশি বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে পারছে না। ফলে বিশ্বজুড়েই খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে।
কিন্তু প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইউক্রেনে শস্যের অবাধ আমদানির কারণে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শস্যের দাম কমে গেছে। যা স্থানীয় কৃষকদের আয় কমিয়ে দিয়েছে এবং এ কারণেই দেশ তিনটি ইউক্রেন থেকে শস্য ক্রয় নিষিদ্ধ করেছে।
ইইউ কমিশন বলেছে, ‘শস্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এড়াতে’ ৩০ দিনের মধ্যে রপ্তানি লাইসেন্সিং ব্যবস্থা চালু করতে কিয়েভ সম্মত হওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ইইউভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর বাজার বিপর্যস্ত না করতে ইউক্রেন গম, ভুট্টা ও সূর্যমুখী বীজের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি কিয়েভ ও ইইউর মধ্যে ‘সত্যিকারের ঐক্য ও বিশ্বাসের উদাহরণ’।
এর আগে, গত মে মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের শস্য রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেন থেকে কিছু শস্য রফতানি বৈধ ছিল। সেই শর্ত হলো—যে দেশ ইউক্রেনের শস্য কিনবে তারা বিশ্বের অন্য কোথাও সেই শস্য বিক্রি করবে।
কিন্তু শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরি নিজ নিজ উদ্যোগে ইউক্রেনের শস্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।