হুতিদের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

এএফপি

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৩:৫১ পিএম

হুতিদের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের গতকাল বৃহস্পতিবার ছোড়া জাহাজবিধ্বংসী একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, লোহিত সাগরে থাকা একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করে।

লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন জাহাজে হুতিরা হামলা চালিয়ে আসছে। হুতিরা বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তারা এ হামলা চালাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইউএসএস ম্যাসন (ডিডিজি ৮৭) নামের মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইয়েমেনের হুতিদের ছোড়া জাহাজবিধ্বংসী একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করে।

সেন্ট্রাল কমান্ড আরও বলেছে, লোহিত সাগরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকা ১৮টি জাহাজের কোনোটির কোনো ক্ষতি হয়নি। কারও আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি।
সেন্ট্রাল কমান্ডের তথ্যানুযায়ী, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে এ নিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজ নিশানা করে ২২ বারের মতো হামলার চেষ্টা চালাল হুতিরা।

হুতিদের এমন হামলা বৈশ্বিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এই নৌরুট দিয়ে প্রায় ১২ শতাংশ বৈশ্বিক বাণিজ্য হয়ে থাকে।

হুতিদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের সুরক্ষায় চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি বহুজাতিক নৌ টাস্কফোর্স গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি দেশটির অর্থ দপ্তরও হুতিবিরোধী পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। হুতিদের হামলায় অর্থায়নকারী একটি নেটওয়ার্কের ওপর  বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। সেদিন প্রায় ২৪০ জনকে ইসরায়েল থেকে ধরে নিয়ে জিম্মি করে হামাস।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই অবরুদ্ধে গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১ হাজার ৩২০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক জনগণ।

Link copied!