আগস্ট ১৭, ২০২৩, ০২:০৭ এএম
সেনাবাহিনীতে ‘অমানবিক আচরণ ও জাতিগত বৈষম্যের’ কারণে আশ্রয়ের জন্য উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে গেছেন মার্কিন সেনা ট্রাভিস কিং। এমনটাই দাবি করছে পিয়ংইয়ং। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
একটি ট্যুরে অংশ নেওয়া ২৩ বছর বয়সী ওই সেনা সদস্য গত ১৮ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ার প্রবেশ করেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মার্কিন সেনা অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি দেশটিতে আশ্রয় চেয়েছেন। তবে ওয়াশিংটন বলছে, তারা এর সত্য/মিথ্যা এখনো যাচাই করতে পারেনি।
মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন যে তারা মনে করেন এ সেনা ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ট্রাভিস কিং। তিনি প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস পদমর্যাদার সদস্য ছিলেন।
সীমান্ত অতিক্রম করার আগে হামলার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাস আটক ছিলেন ট্রাভিস কিং। গত ১০ জুলাই তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু তিনি দেশে ফেরার উড়োজাহাজে না উঠে ইনচেন বিমানবন্দরের কাস্টমস থেকেই হঠাৎ গায়েব হয়ে যান।
কোনোভাবে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে দুই কোরিয়ার জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) সীমান্ত সফরে যোগ দেন। যা বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরে। ওই সফরের সময়ই সীমান্ত অতিক্রম করেন তিনি।