আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড (অ্যাক্টস অভ জেনোসাইড) প্রতিরোধ করতে দেশটির ক্ষমতার মধ্যে থাকা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসরায়েল গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে তার ক্ষমতার মধ্যে থাকা সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ পালনের জন্য কী করছে — তা এক মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতেও দেশটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইসিজের নির্দেশনার পর একে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলকে একঘরে করতে এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অপরাধগুলো তুলে ধরতে আইসিজের রায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
আইসিজের আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিও। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আইসিজের বিচারকেরা (গাজার) প্রকৃত চিত্র ও আইনের সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। তারা মানবতা এবং আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
এদিকে আইসিজের আদেশের পর আগের কথাই বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার মতে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা ‘আপত্তিকর’ একটি বিষয়। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার যে আহ্বান দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেছে আইসিজে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের এ যুদ্ধ `একটি অন্যতম ন্যায়যুদ্ধ`।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিজেকে এবং তার নাগরিকদের রক্ষা করতে থাকবে।
আইসিজে-তে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। সেখানে তেল আবিবের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনে দেশটি।
দক্ষিণ আফ্রিকা এ রায়কে আন্তর্জাতিক আইনের শাসনের জন্য `নির্ধারণকারী বিজয়` বলে অভিহিত করেছে।