সম্প্রতি ইউক্রেন পুনর্গঠনের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্ল্যাকরকের ব্যবস্থাপকদের সাথে বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। এ বৈঠকে, ইউক্রেনের অর্থ মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের উন্নয়ন তহবিলে সহায়তা পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
তবে এমন সম্ভাবনা রয়েছে, অনেকেই এই ব্ল্যাকরকের নাম প্রথমবারের মতো শুনেছে এর মাধ্যমেই। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের পরিধি ও আকার সম্পর্কে ধারণা নেই অনেকেরই। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কারা এই ব্ল্যাকরক ও একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে কেন বিনিয়োগ করছে তারা?
ব্ল্যাকরক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বহুজাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের অর্থনীতির মোট ১০ শতাংশ সম্পদ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের দখলে। ১৯৮৮ সালে মাত্র ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার নিয়ে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি কালক্রমে প্রতিষ্ঠাতটি পরিণত হয়েছে সবচেয়ে বড় এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে। সারা পৃথিবী জুড়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১০ ট্রিলিয়নেরও বেশি সম্পদ রয়েছে যা তারা বিনিয়োগ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। গুগল, অ্যামাজন,ডিজনি, ফেসবুকসহ এমন অনেক বড় বড় কোম্পানির প্রচুর শেয়ার আছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে। এমনকি এর সম্পদের আকার তুলনা করতে গেলে দেখা যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বমোট জিডিপির প্রায় অর্ধেক।
২০২০ সালে কোভিড মহামারীতেও আমেরিকার সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ সম্পদ পেনশনের জন্য সঞ্চিত অর্থের। যদিও অনেক কারণেই এ প্রতিষ্ঠানটি সমালোচনার পাত্র হয়েছে । পরিবেশ দূষণ ও যুদ্ধ বন্ধের দিকে সোচ্চার ভূমিকায় দেখা গেলেও আসলে প্রতিষ্ঠানটি এমন অনেক কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে যা এর নীতির সাথে সাংঘর্ষিক।