আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১, ২০২১, ০৫:০০ পিএম

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার শুরু

আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (১ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটি থেকে মার্কিন সেনারা ফিরতে শুরু করেছেন। এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে চলতে থাকা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, দেশটিতে তালেবান নিয়ন্ত্রণ প্রভাবশালী হওয়ায় এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, সেনা প্রত্যাহারের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ১ মে সেটিরই ধারাবাহিকতা। কিন্তু ওয়াশিংটন এটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কারণ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল।

কাবুল ও কাছের বারগাম বিমানঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারের আনাগোনা ছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার ন্যাটোও প্রত্যাহার শুরু করে।

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের সামরিক উপস্থিতির অবসান ঘটলেও দেশটির বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি এই ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ খ্যাত সংঘর্ষ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাইডেন জানান ১/১১ হামলার ২০তম বার্ষিকীতে আফগানিস্তানে থাকা বাকি ২ হাজার ৫০০ সৈন্য সম্পূর্ণরুপে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানের মাটি আর পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে না।

বাইডেন বলেন, ২০ বছর আগে এক নৃশংস হামলা হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালেও কেন আমাদের সেখানে থাকতে হচ্ছে সেটির কোনও ব্যাখ্যা নেই।

তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির পর দেশটিতে বিদেশি সেনারা হামলার শিকার হয়নি। কিন্তু আফগান সরকারের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রয়েছে।

এখনো কোনো সমঝোতা না হওয়ায় সংঘর্ষ একেবারে বন্ধ হচ্ছে না। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গিলানি বলেছেন, সরকারী সৈন্য তালবানসহ দেশটিতে চলমান বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম। তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার মানে তালেবানের আর যুদ্ধ করার কোনো কারণ নেই। বিদেশীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার তারা যে ঘোষণা দিয়েছিলো তা শেষ হচ্ছে।’

 সূত্র: আল-জাজিরা।

 

 

Link copied!