মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
এজেন্সি ফ্রান্স-প্রে ‘র (এএফপি) প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সমঢ শুক্রবার এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রধান সু চি’র সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন।
মিন অং হ্লাইং বলেন, জান্তার আদালতে সু চির বিচার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে তার (সু চি) সঙ্গে আলোচনার জন্য জান্তার দ্বার উন্মুক্ত।
মিয়ানমার সেনাপ্রধান আরও বলেন, “আইন অনুসারে সু চির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর আমরা তার প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে (আলোচনার বিষয়টি) বিবেচনা করতে যাচ্ছি।
এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভিন্ন অভিযোগে অং সান সু চিকে এখন পর্যন্ত ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সু চির বিরুদ্ধে আরও কয়েক দশকের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে, সু চি’র বিরুদ্ধে সব মামলার রায়ের পর গৃহবন্দি হিসেবে জেল বাড়িতে ফিরতে পারেন তিনি। মিয়ানমারের জান্তা প্রধান এ কথা জানিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশটি সফরকালে, সু চিকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। এরপরই এমন বিবৃতি দেন সামরিক প্রধান।
১৯৮৯ সালে সু চিকে প্রথম গৃহবন্দি করা হয়েছিলো। ৭৭ বছর বয়সী গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চি গত তিন দশকের প্রায় অর্ধেক সময়ই গৃহবন্দিত্বে কাটিয়েছেন। ২০১০ সালে তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে।