মার্চ ২৩, ২০২২, ০৫:৫৮ পিএম
পোল্যান্ডের প্রস্তাব মতো ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর নামে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটো সেনা পাঠালে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলায় ন্যাটো জোটের সেনাদের ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা করতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে পোল্যান্ড। ন্যাটোর পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে তারা অফিসিয়ালি প্রস্তাব দেবে দেশটি জানিয়েছে।
এমন ঘোষণায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রেস সচিব দিমিত্রি পেসকোভ মঙ্গলবার এ হুশিয়ারি দেন।
দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, “ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর যে প্রস্তাব পোল্যান্ড দিয়েছে তাদের এ পরিকল্পনা বেপরোয়া এবং অত্যন্ত বিপদজনক।”
তিনি আরও বলেন, আমাদের সেনা ও ন্যাটোর সেনাদের মধ্যে যে কোনো মুখোমুখি অবস্থানের পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ, যেই পরিণতি কাটিয়ে ওঠার বিষয়টি হবে অনেক কঠিন।
এদিকে, ন্যাটোর সদস্য পোল্যোন্ডের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব আসলেও ইউক্রেনে কোনো অবস্থাতেই সেনা পাঠাতে রাজি না যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি দেশটিতে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট ওই দাবি মানতে নারাজ।
ন্যাটোর মহাসচিব স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, ইউক্রেনে ন্যাটোর সেনারা গেলে এতে করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চায়না ন্যাটো।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের ২৮ তম দিন বুধবার রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।