এপ্রিল ২২, ২০২৩, ০১:৩৮ এএম
সুদানের ক্ষমতা দখল ও ধরে রাখা নিয়ে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস’র (আরএসএফ) মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে। ঈদুল ফিতরের দিনেও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির কথা শোনা গেলেও তা কার্যকর হয়নি। গত শনিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এ পর্যন্ত সংঘর্ষে তিন শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম টি আর ওয়ার্ল্ড’র প্রতিবেদনে বলা হয়সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস-আরএসএফ উভয় পক্ষই খার্তুমের বিমানবন্দর ও অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেছে।
কেন এই বিরোধ?
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুদানের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল বুরহান ক্ষমতাসীন হবার পর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক তোলপাড় চলছে।
ক্ষমতা হাতে নিয়েই আল-বুরহান দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে প্রস্তাবিত বেসামরিক সরকারে কে একীভূত সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করবেন - তা নিয়ে মূলত তৈরি হয় বিবাদ।
চলমান বিবাদের এক পক্ষে রয়েছেন সুদানের সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপরপক্ষে রয়েছেন তারই ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলো। গত শনিবার থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
সুদানে একটি বেসামরিক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চেষ্টা চললেও তা ব্যর্থ হয়। ওই সময় প্যারামিলিটারি বাহিনীর এক লাখ সদস্যকে সেনা বাহিনীতে একীভূত করার প্রশ্নটিও সমস্যার মূল কারণ হিসেবে দেখা দেয়।
সামরিক বাহিনীর এ দুই অংশের মধ্যে সংঘাতের এক পর্যায়ে সম্প্রতি আরএসএফ উত্তরের মেরওয়ে শহরের একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে তাদের সেনাদের মোতায়েন করে।
আলজাজিরা, রয়টার্স ও বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সুদানের চলমান সংঘাত প্রধানত রাজধানী খার্তুম, পশ্চিম দারফুর অঞ্চল এবং অন্য কয়েকটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এ সময় খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সেনা সদর দপ্তরের আশপাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা যায়।