অক্টোবর ২৩, ২০২২, ১১:২৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুই মাস আগে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তুতিকালে হামলা চালানোর ঘটনায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও এক হাত ও এক চোখ হারিয়েছেন ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি।
সম্প্রতি সালমান রুশদির এক প্রতিনিধির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হামলায় সালমান রুশদির একটি চোখ নষ্ট এবং এক হাত প্যারালাইজড তথা অক্ষম হয়ে গেছে।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ নামে এক বই লিখে আশির দশক থেকেই হুমকির মুখে ছিলেন রুশদি। দু’মাস আগে নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে শৈল্পিক স্বাধীনতার বিষয়ে বক্তৃতা দেয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন সাবেক বুকার পুরস্কার বিজয়ী এই লেখক। ওইসময় হাদি মাতার নামে এক যুবক তার দিকে তথা মঞ্চের দিকে যান এবং পরিচিত হওয়ার ছলে ঘাড়ে ও ধড়ে ছুরিকাঘাত করেন। চলতি বছরের ১২ আগস্ট ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত রুশদির আঘাতের পরিমাণ নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল। তবে এবার স্প্যানিশ গণমাধ্যম এল পাইসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি সেই আক্রমণ কতটা গুরুতর ও প্রাণঘাতী ছিল তা ব্যাখ্যা করেন। রুশদির ক্ষতগুলো বেশ গভীর ছিল এবং তিনি একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সালমান রুশদির ওই এজেন্ট আরও বলেন, ‘তার (রুশদি) ঘাড়ে তিনটি গুরুতর ক্ষত ছিল। তার বাহুর স্নায়ু কেটে যাওয়াযর ফলে এক হাত প্যারালাইজড হয়ে গেছে। সালমান রুশদির বুকে ও ধড়ে আরো প্রায় ১৫টি ক্ষত রয়েছে। সুতরাং, এটি একটি নৃশংস হামলা ছিল।’ তবে সালমান রুশদি এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন কিনা তা জানাতে চাননি ওই এজেন্ট।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে ‘মিডনাইট’স চিলড্রেন’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে তার চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।