কম্বোডিয়াকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৩, ০১:০০ এএম

কম্বোডিয়াকে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা

সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়া শাসন করছেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছে তাঁর দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি)। ক্ষমতাসীন দল সিপিপি জিতেছে ১২০টি আসন। আর বিরোধী দল ফানসিনপেক পার্টি পেয়েছে ৫টি আসন।

ক্ষমতা ধরে রাখতে কঠোরভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করেছেন বলে হুন সেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সমালোচকেরা বলেন, তিনি বিরোধীদের দমনে আদালতকেও ব্যবহার করেছেন।

কম্বোডিয়ার ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) পুনরায় বিজয়ী হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনকে একতরফা নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে কম্বোডিয়ায় বিদেশি সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। পাশাপাশি কয়েকজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের দল সিপিপি কার্যত কোনো প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়নি। সুতরাং এ নির্বাচন নিয়ে ওয়াশিংটন সন্তুষ্ট নয়।

মিলার বলেন, নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ার ক্ষমতাসীন সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে হুমকি ও হয়রানির মধ্যে রেখেছিল। এটি নিঃসন্দেহে কম্বোডিয়ার সাংবিধানিক চেতনা ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার নিয়মকে ক্ষুণ্ন করেছে।

এরই প্রতিক্রিয়ায় কম্বোডিয়ার এমন কয়েকজন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যাঁরা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার সাথে জড়িত ছিল বলে জানান ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ওই বিশেষ ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি কম্বোডিয়ার কিছু বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার কম্বোডিয়াকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বিচারের অবসান, সরকারের সমালোচকদের সহ্য করা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Link copied!