করোনায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ১৯, ২০২১, ০৩:৫৭ পিএম

করোনায় আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন ৭৭ বছর বয়সী এই নেতা।

একই সাথে তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের শরীরে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তার দেহে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করছে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। চিকিৎসকরা মনে করছেন, স্বাভাবিকভাবেই করোনা তাঁর জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

কিছুদিন ধরেই তাঁদের শরীরে করোনার বেশ কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এরপরেই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনের ঠিক আগেই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড টেস্ট করানো হয়। কিন্তু ওই সময় পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আড়াই দিনের মাথায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়। ওই সময় ৬ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এমনকি শারীরিক কারণে নির্বাচনে ভোটও দিতে পারেননি তিনি। বাইরে বেরনোর অনুমতি পাননি চিকিৎসকদের কাছ থেকে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ২০০৬ সালের ৬ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ত্রয়োদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে (২০০১) জয়ী হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে  শপথ নেন। পরবর্তীতে  চতুর্দশ পশ্চিমবঙ্গ সাধারণ নির্বাচনে (২০০৬) সালেও জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে  পঞ্চদশ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ২০১১ সালের ১৯ মে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

Link copied!