কূটনৈতিকভাবে আলোচনা করেই ইউক্রেন নিয়ে চলমান অস্থিরতার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ান এম্বাসেডর ভ্লাদিমির চিজভ। ইউক্রেনের বিনাকারণে হামলার কোন ইচ্ছা রাশিয়ার নেই বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বক্তব্য জোরালোভাবে আবারো তুলে ধরেছেন তিনি। তবে রাশিয়ার মন পরিবর্তন হয় এমন কোন উস্কানী না দিতে পশ্চিমাদের অনুরোধ করেছে মস্কো। দুদিন ধরে নানা কূটনৈতিক আলোচনার পর একথা জানিয়েছেন চিজভ।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এ্যামুনেল ম্যাকরন ইউক্রেন পরিস্থিতি নিরসনে মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নের উপর জোর দেন। এ চুক্তিতে পূর্ব-ইউক্রেনে চলমান রুশপন্থীদের সংঘর্ষ ধামানোর কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে ১ হাজার রুশ সেনা মোতায়েনের পর পুরো ইউরোপজুড়েই অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের লাইন বিচ্ছিন করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে পশ্চিমাদের পাঁয়তারা শুরু হলে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে ১ লাখ সেনা পাঠায় মস্কো। যদিও পুতিন জানিয়েছেন, নিয়মিত অনুশীলন করতে গেছেন সেনারা।
মস্কো চায়, ইউক্রেনকে যেন ইউরোপ ও পশ্চিমা ৩০টি দেশের সামরিক সংগঠন ন্যাটোভুক্ত করা না হয়।