ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৯:৪০ এএম
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলার হামলায় ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিউজিল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জরুরি অবস্থা জারি করেন নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি বলেন, ‘এটি অভাবনীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ ঝড়ে বেশিরভাগ প্রভাব পড়ছে পূর্ব আইল্যান্ডে।’
এনিয়ে, নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে তৃতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জঙ্গি হামলা এবং ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের কোথাও কোথাও বন্যা ও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ডের কিছু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি বলেছেন, ‘এটি অভাবনীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই ঝড়টির বেশিরভাগ প্রভাব পড়ছে পূর্ব আইল্যান্ডে। এটি নিউজিল্যান্ডের মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবারও পুরো দেশে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে। যার কারণে জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলোর সেবা ব্যহত হবে।
এদিকে, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের কোথাও কোথাও বন্যা ও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ডের কিছু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, পূর্ব অকল্যান্ডে একটি বাড়ি ধসে পড়ে একজন ফায়ারকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। অপর এক কর্মী নিখোঁজ আছেন। হয়তবা বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার বিমান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে রাষ্ট্রয়াত্ত বিমান সংস্থা এয়ার নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে।