ঘুষ ও যৌনতার বিনিময়ে তথ্য পাচারের অভিযোগ মার্কিন নৌকর্মকর্তার বিরুদ্ধে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জানুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৯:৪৪ পিএম

ঘুষ ও যৌনতার বিনিময়ে তথ্য পাচারের অভিযোগ মার্কিন নৌকর্মকর্তার বিরুদ্ধে

গোপন তথ্য পাচার করার বিনিময়ে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তথ্য পাচারের বিনিময়ে মাদক, দামি উপহার, বিলাসী ভ্রমণ ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ইতিহাসে সব থেকে বড় দুর্নীতি মামলা 'ফ্যাট লিওনার্ড' এর শুনানিকালে এ কথা স্বীকার করেছেন সপ্তম নৌবহরের কমান্ডার স্টিফেন শেড। দেশটির নৌবাহিনীর আরও কয়েকজন কর্মকর্তা এই দুর্নীতির সঙ্গে ছিলেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মূলত লিওনার্ড গ্লেন ফ্র‍্যাঞ্চিস ছিলেন একঞ্জন মালেশিয়ান নাগরিক। তিনি সিঙ্গাপুরভিত্তিক 'গ্লেন ডিফেন্স মেরিন এশিয়া (জিডিএমএ)' নামে একটি মেরিন বাণিজ্যিক কোম্পানি গড়ে তোলেন। এই কোম্পানি মার্কিন নৌবাহিনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিল। চুক্তি অনুযায়ী থাগবোট (বড় জাহাজ নোঙর করার কাজে ব্যবহৃত), প্রমোদতরী, জ্বালানি, খাদ্য, পানি, নিরাপত্তা এবং বর্জ্য নিষ্কাশনসেবা প্রদান করতো।

স্টিফেন শেড স্বীকার করেছেন, আরও অনেক কর্মকর্তা নৌবহরের চলাচলের পথসহ অন্যান্য গোপনীয় খবর 'জিডিএমএ’ এর কাছে পাচার করতেন এবং তিনি অন্য কর্মকর্তাদের কাছে এই কোম্পানির ব্যাপারে তদবির করতেন। ফলে সেই অনুযায়ী সরবরাহকৃত পরিষেবা বেশি দাম নির্ধারণ করার সুযোগ পেত জিডিএমএ। আর এতে সর্বমোট প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি ব্যয় হয় মার্কিন নৌবাহিনীর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাট লিওনার্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বেশ আলোচনা চলছে। এই দুর্নীতির দায়ে পোর্ট সার্ভিসের ঠিকাদার, মার্কিন নৌ বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ ৩৪ জন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। অন্যান্যদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ২৮ জন অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করেছে, যার মধ্যে দুইজন সপ্তম নৌবহরের কর্মকর্তা। কমান্ডার স্টিফেন শেড তৃতীয় নৌকর্মকর্তা যিনি এই দোষ স্বীকার করলেন।

মার্কিন বিচার আদালত এই মামলা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। স্টিফেন শেডের বিরুদ্ধে আগামী জুলাইয়ের ২১ তারিখ রায় ঘোষিত হবে। বাকি আসামীদের বিচার শুরু হবে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ।

Link copied!