যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা ও কলোরাডো রাজ্যে অন্তত ২২ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় জনসন এন্ড জনসন টিকাদান স্থগিত করা হয়েছে।
করোনার বহুল আলোচিত এই টিকা দেওয়ার পর অনেকে বমি ভাব ও মাথা ঘোরার কথা জনান। তবে ওয়াকি কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এগুলোকে ‘সাধারণ ধরনের প্রতিক্রিয়া’ বলে অভিহিত করেছেন।
অস্বস্তি অনুভবের পর এদের মধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই কলোরাডোর একটি করোনা ভ্যাকসিন সাইট হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। কলোরাডোর ডিকস্ স্পোর্টিং ক্লাবে সেঞ্চুরা হেলথ -এর উদ্যোগে এই টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সেঞ্চুরা হেলথ জানাচ্ছে, এক হাজার ৭০০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ০.৬২ শতাংশের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, যা খুবই নগণ্য। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামনে আসার পর যে ৬৪০ জনকে এদিন ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়নি, তাদের ১১ এপ্রিল ভ্যাকসিন দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
মার্চের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত কলোরাডোতে জনসন অ্যান্ড জনসনের মোট ৮০ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১.৯ মিলিয়ন মানুষ ভ্যাকসিনের একটি করে ডোজ পেয়েছেন এবং প্রায় ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৫ হাজার ৩৯ জনের দেহে পুরোপুরিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি-র মতে ভ্যাকসিন নেয়ার পর বমিভাব, জ্বর, ক্লান্তি এগুলি সবই সাধারণ লক্ষণ। ডোজ নেয়ার এক কি দুই দিনের মধ্যে এই লক্ষণগুলো দিন কয়েকের মধ্যে চলে যায়।
ক্লিনিক্ল্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ প্রতিহত করতে মানবদেহে ৬৬ শতাংশ কাজ করে এবং সংকটজনক মুহূর্তে এর কার্যকারিতা ৮৫ শতাংশ।
ডেইলি মেইল