টিভিতে লাইভ বক্তব্য চলাকালে ভারতীয় সাবেক এমপি ও তার ভাইকে গুলি করে হত্যা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ১৬, ২০২৩, ১০:০৮ এএম

টিভিতে লাইভ বক্তব্য চলাকালে ভারতীয় সাবেক এমপি ও তার ভাইকে গুলি করে হত্যা

ভারতের উত্তর প্রদেশে টেলিভিশনে লাইভ বক্তব্য দেওয়ার সময় অস্ত্রধারীর গুলিতে রাজ্যসভার সাবেক এক সদস্যসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। উত্তর প্রদেশের ওই নিহত বিধায়কের নাম আতিক আহমেদ।

উত্তর প্রদেশের পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতের আনন্দবাজারসহ একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যা এবং হামলার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর আতিক আহমেদ নামে সাবেক ওই বিধায়ককে শনিবার রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেডিকেল কলেজের কাছে দাঁড়িয়ে আতিক আহমেদ এবং তার ভাই আশরাফ পুলিশি হেফাজতে থেকেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন। ওই সময়  সাংবাদিকরা তার বক্তব্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন। যখন আতিক আহমেদ টিভি সাংবাদিকদের সাথে লাইভ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করা হয়।একই সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আতিক আহমেদের ভাইকে অশরাফকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। লাইভ বক্তব্য দেওয়ার সময় অস্ত্রধারীরা সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়েছিলেন।

স্থানীয়  গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হত্যার পর অস্ত্রধারী তিনজন ব্যক্তি পুলিশের কাছে আতামসমর্পণ করেন।

লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়,  সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ছেলের জানাজায় তিনি গিয়েছিলেন কিনা?

ক্যামেরার সামনে আতিকের শেষ ষ বক্তব্য ছিল, ‘“তারা (পুলিশ) আমাদের নিয়ে নিয়ে যায়নি, তাই আমরা যেতে পারিনি।”এরপরই সাংবাদিক সেজে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী তিনজন লোকের একজন মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যা করে। তাদের আরেকজন আতিকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার ভাইকেও গুলি করে হত্যা করে। গুলি করার সময় পুলিশের এক সদস্য ও এক সাংবাদিক আহত হন।

উত্তর প্রদেশের রাজ্যসভার সাবেক সংসদ সদস্য আতিক আহমেদ কয়েকদিন আগে থেকেই দাবি করে আসছিলেন, পুলিশের কারণে তার জীবন হুমকিতে রয়েছে। একটি হত্যা মামলায় আতিকের কিশোর ছেলে আসাদও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। তবে পুলিশ ওই ঘটনাকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে।

হত্যা এবং হামলার অভিযোগে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের সাবেক বিধায়ক (রাজ্যসভার সদস্য) আতিক আহমেদ এবং তার ভাইকে হত্যা এবং হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

অপহরণের একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। পুলিশের তরফ থেকেই তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে, এরকম একটি শুনানির আবেদন গত মাসেই নাকচ করে দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বিরোধী দলগুলো সরকারের সমালোচনা করে বলছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

Link copied!