তৃতীয় দিনের মতো বিবিসির দিল্লি-মুম্বাই অফিসে তল্লাশি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৩:২৭ পিএম

তৃতীয় দিনের মতো বিবিসির দিল্লি-মুম্বাই অফিসে তল্লাশি

বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বাই অফিসে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের আয়কর বিভাগ। বিবিসির আর্থিক লেনদেন, কোম্পানির কাঠামো ও অন্যান্য বিষয়ের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য নথিপত্র দেখছে কর কর্মকর্তারা। প্রয়োজনে কপি করে নিচ্ছেন। 

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, গত মঙ্গলবার কর ও অন্যান্য ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পর্কিত আর্থিক তথ্য পেতে আয়কর কর্মকর্তারা বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয়ে যায়। 

কর কর্মকর্তারা জানান, বিবিসির সহযোগী সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক কর ও স্থানান্তরের খরচের বিষয়ে তদন্তের জন্য এ অভিযান চালানো হচ্ছে। 

তল্লাশি চলার কারণে বুধবার বিবিসি কর্মীদের ইমেইলের মাধ্যমে জানায়, কর্মীরা যেন তদন্তকাজে সহযোগিতা করেন। সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া বাকি সব কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কর্মীদের আরও বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তাদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন। তাদের প্রশ্নের বিস্তারিত জবাব দিন। আপনার ব্যক্তিগত আয় নিয়ে আপনাকে মুখ খুলতে হবে না। তবে বেতন সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর দিন। 

কার্যালয়ে গিয়ে আয়কর কর্মকর্তারা সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জমা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসির কর্মীরা।

এদিকে, এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। দেশটির সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন পর্যন্ত এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এ ঘটনাকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পরই দেশটিতে বিবিসির দুই কার্যালয়ে অভিযান চালানোর ঘটনাটি ঘটলো। বিবিসির ওই তথ্যচিত্রে ২০২২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়, যা দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

তবে কর কর্মকর্তারা বলছেন, তল্লাশি নয়, ‘আয়কর জরিপের’ অংশ হিসেবে তারা বিবিসির কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। এদিকে এক বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, তারা আয়কর দপ্তরকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

বিবিসি কার্যালয়ে অভিযানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া বলছে, সম্প্রতি একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেসব সংবাদমাধ্যম সরকারি নীতি বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা করছে, তাদেরই সরকারি এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। এই প্রবণতা সাংবিধানিক গণতন্ত্রের পরিপন্থী। 

Link copied!