দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে: রামাফোসা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে: রামাফোসা

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাসহ প্রতিবেশি বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির নিন্দা জানিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। একই সঙ্গে তিনি ভ্রমণ  নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও আহবান জানিয়েছেন।

এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রথম সারিতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সাত দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি গভীরভাবে মর্মাহত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায়। এটি অন্যায় করা হচ্ছে।”

স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ নভেম্বর) এক বক্তব্যে রামাফোসা আরও বলেন, “ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই এবং বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।”

নিষেধাজ্ঞা নতুন ধরন ছড়ানো বন্ধ কতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এটি বরং অর্থনীতির আরও বড় ক্ষতি বয়ে আনবে এবং করোনা মহামারি ঠেকাতে ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা হ্রাস করে ফেলবে।”

ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে দ্রুত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা দেশগুলোর প্রতি সিদ্ধান্ত বদল করার আহ্বান জানান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে শনিবার (২৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টির সমালোচনা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বিজ্ঞানের চমৎকার সাফল্যের জন্য সাধুবাদ জানানো উচিত, শাস্তি নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক দ্রুত করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত করতে পেরেছে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু সেটির ‘শাস্তি’ পাচ্ছে তারা এখন।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থা মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে ২২ জন ওমিক্রন শনাক্তের খবর জানালেও এই নতুন ধরন এখন দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু। এখন তা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ইটালি এবং হংকংয়ে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন থেকে বাঁচতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া  করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আরও বেশি ভয়ংকর ও শক্তিশালী বলে  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।ওমিক্রন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ডাব্লিউএইচও।

আগের সব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। এমনকি করোনার নতুন এই ধরনটি টিকার কার্যকারিতাকেও ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে থাকেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণে নতুন ধরন ওমিক্রনকে বলা হচ্ছে ‌‌‌'সুপার ভ্যারিয়েন্ট'।

Link copied!