অক্টোবর ২৬, ২০২২, ০১:২৫ পিএম
কিকবক্সার অ্যান্ড্রু টেটের নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে। গত রবিবার থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দুবাইয়ের একটি মসজিদে বিখ্যাত এমএমএ ফাইটার তাম খানের কাছে তিনি নামাজ পড়ার তরিকা শিখছেন।
পরদিন সোমবার এনড্রু টেট তাঁর নিজস্ব সাইটে নিজের ইসলাম গ্রহণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এই কারণেই আমি মুসলিম হয়েছি। কল্যাণ ও মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের লড়াইয়ে বিশ্বাসী যে কোনো খ্রিস্টান অবশ্যই ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য।’
টুইট বার্তায় ত্রয়োদশ শতাব্দির প্রসিদ্ধ ইসলামিক ধর্মতাত্ত্বিক ইবনুল কায়্যিম (রহ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ-আমেরিকান এই বক্সার লেখেন, ‘আল্লাহর ভালোবাসা অন্তরে শক্তি, পুষ্টি ও আলো যোগায়।’
শনিবার (২২ অক্টোবর) আমিরাত ভিত্তিক উদ্যোক্তা বিশ্বখ্যাত এম এম এ যোদ্ধা তাম খান এক ফেসবুক পোস্টে নামাজের ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন: ‘আলহামদুলিল্লাহ’ তথা সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। এরপরই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয় এবং উভয়ের প্রশংসা করতে থাকেন সবাই।
এরপর ভিডিও শেয়ার করে কমেন্ট বক্সে তাম খান একটি ব্যাখ্যামূলক দীর্ঘ বর্ণনাও দেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘ভাই অ্যান্ড্রু খুবই আন্তরিক এবং তাঁর অন্তরে ইসলামের বিশেষ স্থান রয়েছে। আমি কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করব। কেন আমি আমাদের ইবাদতের দৃশ্য রেকর্ড করেছি? কারণ তা ইতিবাচ মনোভাব প্রসারে সাহায্য করে।’ টেট এ সময়ই প্রথম নামাজ পড়েছেন। জানান তিনি।
তাম আরো লেখেন, ‘এক্ষেত্রে অ্যান্ড্রু না বলতে পারতো। তিনি জানেন যে, সোস্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু তিনি নিজেই তা করেন। এটা ছিল মসজিদে আমাদের বিশেষ ভ্রমণ। শুধুমাত্র সে ও আমি তা চেয়েছিলাম। কয়েকদিন আগে আমরা এই পরিকল্পনা করেছিলাম। পরবর্তীতে সে আমাকে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তাম আরো লেখেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে আমরা মসজিদ ভ্রমণ করেছি। মানুষ তাঁর আসল দিকটি দেখেছে। এবারই প্রথম টেট মসজিদে গিয়েছেন। কীভাবে তিনি তাঁর নতুন যাত্রা শুরু করেছেন তা সম্পর্কে জানা যায়। গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। পবিত্র কোরআন, হাদিস, মহানবী (সা.)-এর কাজকর্ম এবং ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল ধারণাসহ ইত্যাদি বিষয়ে আমি দীর্ঘ আলোচনা করেছি।’
কয়েক মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের নিয়ে মন্তব্যের কারণে অ্যান্ড্রু টেট ‘মিসোজিনিস্ট’ বা নারীবিদ্বেষী হিসেবে তীব্র সমালোচিত হন। তখন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটারসহ সব সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গুগলে সর্বাধিক অনুসন্ধান করা ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
সূত্র : দ্য নিউ আরব