সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিধায়ক হিসাবে শপথ নেবেন মমতা ও সদ্য জিতে আসা আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক।
প্রথমে স্থির হয়েছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে সকাল ১১ঃ৪৫ মিনিটে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের পরিষদীয় দফতরের অনুরোধে শপথ অনুষ্ঠান হবে বেলা দুটোয়। মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিধায়কদের শপথ কবে,কখন, কোথায় হবে তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক চর্চা হয়েছে। অবশেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যপাল শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তাদের।
প্রসঙ্গত, চিরাচরিত নিয়মানুযায়ী বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার বা স্পিকার৷ এই অধিকার অবশ্য রাজ্যপালের হাতে থাকে৷ তার অনুমতিক্রমে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মাতৃ পক্ষের শুরুতেই নব নির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে শপথ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, রাজভবন থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছিল, এরপর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল। লোকসভা বা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রোটেম স্পিকার সাংসদ-বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্বে থাকেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পালন করেন রাজ্যের রাজ্যপাল। যদিও প্রতি ক্ষেত্রেই সাংসদ, বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে থাকেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন প্রোটেম স্পিকারদের। আর উপনির্বাচনে জয়ী হলে লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে।
চলতি সপ্তাহে মাত্র চারদিন কর্মদিবস রয়েছে দেশটির বিধানসভায়। গতকাল বুধবার মহালয়ার কারণে ছুটি। সোম ও মঙ্গলবার ছাড়াও বিধানসভা খোলা থাকছে আজ বৃহস্পতি ও শুক্রবার। তারপরেই পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তাই সোমবারই বিধানসভা-রাজভবন এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণের দিনটি চূড়ান্ত করে নিয়েছিল৷ উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল বুধবার মহালয়া হয়ে গিয়েছে। তার পর মাতৃ পক্ষের শুরুতেই আজ তাই শপথ পাঠ।
সূত্র: নিউজ১৮।