নভেম্বর ১৬, ২০২১, ০১:১৪ পিএম
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে সংঘাত এড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুই নেতার বহুল প্রতীক্ষিত ভার্চুয়াল আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছে। বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। খবর রয়টার্সের।
তাইওয়ানে বেইজিংয়ের আধিপত্য, বাণিজ্য ও মানবাধিকার ইস্যুতে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, আমাদের দুদেশের উচিত যোগাযোগ বাড়ানো এবং চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করা।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সুসম্পর্ক জরুরি।
বাইডেনকে ‘পুরনো বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করে চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মানবাধিকার বাস করে বিশ্বগ্রামে। আমরা একসঙ্গে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াবে।’
বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে শি জিনপিং বলেন, জনাব প্রেসিডেন্ট আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ইতিবাচক ধারায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পরিচালনা করতে চাই।
এ সময় বাইডেন বলেন, আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুধু আমাদের দুই দেশের ওপর নয়, সত্যি কথা বলতে, পুরো বিশ্বের ওপরই এটা প্রভাব ফেলে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে যেন প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে না জড়ায় সে বিষয়ে তাদের দায়িত্ব রয়েছে। বিশ্বকে সংঘাতের পথ থেকে সরিয়ে আনাও তাদের দায়িত্ব। দুদেশের মধ্যে সোজাসাপ্টা প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত।
করোনাভাইরাসের উৎস থেকে শুরু করে তাইওয়ান ইস্যু, চীনের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করাসহ বিভিন্ন ঘটনায় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। বিশ্বের প্রভাবশালী এই দুই নেতার আলোচনার মাধ্যমে শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের বিরোধ খানিকটা হলেও প্রশমিত হবে বলে বিশ্লেণকদের অভিমত।