গতকাল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে নাটকীয়ভাবে আধা সামরিক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপর থেকেই বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যেই ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটিতে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ইমরান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন তাঁর সমর্থকরা। এমনকি, রাওয়ালপিন্ডিতে আর্মি হেডকোয়ার্টারেও জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়।
ইমরানের দল পিটিআই সমর্থকদের সাথে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের একাধিক জায়গা থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছে বলে খবর আসতে শুরু করে।
ডাউনডিটেক্টর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অভিযোগ জানাতে শুরু করেন, তাঁরা ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারছেন না। একাধিক সংবাদমাধ্যমের তরফেও সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়।।
প্রসঙ্গত, কাদির ট্রাস্ট মামলায় আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। কাদির ট্রাস্ট হল ইমরান ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা একটি সংস্থা, যেটির নামে বাহরিয়া টাউনের লক্ষ-কোটি টাকার জমি বরাদ্দ করার অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে লাহোরের জামান পার্ক এলাকায় ইমরানকে গ্রেফতার করার জন্য তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে হাজির হয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাটকীয়ভাবে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে বাড়ির পাঁচিল টপকে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৭০ বছরের ইমরান।