রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পারমাণবিক হামলার হুমকি সত্য হতে পারে বলে আশংকা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বিশ্বে একমাত্র জাপানই পরমানু হামলার শিকার হয়েছে। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ৬ আগস্ট, হিরোসিমায় ফেলা বোমায় তাৎক্ষণিকভাবে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায়। এরপর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বোমা ফেলে ওই মার্কিনীরাই। দুটি বোমায় সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক ছিলো।
শনিবার হিরোশিমার শান্তি স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েলও তার সঙ্গে স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরটি পরিদর্শন করেন। কিশিদা বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হিরোশিমা নগরী পরিদর্শন নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিশ্ববাসীকে পারমাণবিক হামলার প্রভাব সম্পর্কে জানাতে। হিরোশিমার আসন থেকেই জাপানের পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেন কিশিদা।
তিনি বলেন, রাশিয়া সরাসরি পারমাণবিক হামলার হুমকি না দিলেও ইউক্রেনে হামলার শুরুর দিকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলো, যদি কেউ রাশিয়াকে বাঁধা দিতে আসে তবে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে, যা মূলত পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিত। আর বর্তমান যুদ্ধের যে পরিস্থিতি তাতে দিনে দিনে পারমাণবিক হামলার আশংকা আরও বাড়ছে।